স্কুলগামি শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলাম ও জেনারেল শিক্ষার সমন্বয়ে একটি মানসম্মত ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি। ব্রিটিশ কারিকুলাম শিক্ষাপদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা যুগোপযোগি একটি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখছি। যেখানে একই সাথে ইসলাম ও জেনারেল শিক্ষার সমন্বয় থাকবে। এজন্য বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। অন্তত ৫০ হাজার ১ লক্ষ টাকা ডোনেশনের মাধ্যমে আপনিও হতে পারেন স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়াও যে কোনো অংকের টাকা দিয়ে যুক্ত হতে পারেন।
তাহযিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গ্রামাঞ্চল ও সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত এলাকায় শিশুদের দ্বীন শিক্ষার জন্য বিনামূল্যে মসজিদ ভিত্তিক মক্তব পরিচালনা করা বর্তমানে বেশ কিছু মক্তব পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের টার্গেট উত্তরাঞ্চলে অন্তত ১০০ মক্তব পরিচালনা করা। প্রতিটি মক্তব পরিচালনার জন্য মাসে মাত্র ৪ হাজার টাকা প্রয়োজন। বছরে মাত্র ৪৮ হাজার টাকায় পূর্ণ এক বছর মসজিদ ভিত্তিক একটি মক্তব পরিচালনা করা যায়। যেখানে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দ্বীন শেখার সুযোগ পাবে।
সুদ হারাম, করযে হাসানা সমাধান স্লোগান নিয়ে সুদমুক্ত ঋণ বা করযে হাসানা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এই প্রজেক্টের অধীনে প্রয়োজনগ্রস্থ ও অভাবীদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পূর্ণ সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ঋণ দিতে সক্ষম হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
বেসরকারি তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লক্ষ ইয়াতিম রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই শিক্ষা ও মৌলিক চাহিদা থেকে দূরে। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে ইয়াতিমদের দেখাশুনার গুরুত্ব ও অনেক ফজিলতের কথা এসেছে। আমরা গ্রামাঞ্চল ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকা থেকে ইয়াতিমদের খুঁজে তাদের শিক্ষার সবরকম ব্যয়ভার গ্রহণ করে থাকি। বর্তমানে ত্রিশের অধিক শিক্ষার্থী ইয়াতিম প্রজেক্টের অধীনে পড়াশুনা করছে। একজন ইয়াতিমের পড়াশুনার জন্য বাৎসরিক খরচ মাত্র ৪২ হাজার টাকা।
মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, সেবাকেন্দ্রসহ অভাবী পরিবারগুলোকে নলকূপ স্থাপন করার মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়। গ্রামাঞ্চলের অনেক হতদরিদ্র পরিবার আছে যারা বিশুদ্ধ পানির অভাবে কষ্ট পান। এ ধরনের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাচাইপূর্বক নলকূপ স্থাপন করা হয়। একটি টিউবওয়েল স্থাপনের ব্যয় মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত নলকূপ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আমরা স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
অনেক দরিদ্র পরিবারে বছরে একবার ছাড়া গোস্ত খাওয়ার সুযোগ হয় না। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সামর্থবানদের পক্ষ থেকে আমরা প্রত্যন্ত এলাকায় অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য কুরবানীর ব্যবস্থা করে থাকি। এই উপলক্ষ্যে অন্তত বছরে একবার গরীব অসহায় পরিবারগুলোতে হাসি ফোটাতে পারি আমরা। দেশ এবং বিদেশ থেকে সামর্থবান যে কেউ এক বা একাধিক কুরবানী আমাদের মাধ্যমে দিতে পারেন।
দাওয়াহ ও শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য নিজস্ব জায়গায় মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য সাদাকা করতে পারেন। মসজিদ সমাজের বহুমুখী কাজের সূতিকাগার। রাসূল সা. এর সময়কাল মসজিদ ছিল সবরকম কাজের মৌলিক কেন্দ্র। নববী সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি একটি আদর্শ মসজিদ কমপ্লেক্স ও যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে একদল বিজ্ঞ ইসলামি স্কলার তৈরির জন্য আধুনিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার। অন্তত ১ লক্ষ বা ৫০ হাজার টাকা সাদাকা করার মাধ্যমে আপনিও হতে পারেন প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য। আল্লাহ সুব. আমাদেরকে তৌফিক দিন।
যাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। সামর্থবানদের উপর ব্যবসায়ী পণ্য ও নিজের উদ্বৃত্ত অর্থের উপর বছরে মাত্র ২.৫% যাকাত প্রদান করা ফরজ। ধনীদের সম্পদে মহান আল্লাহ অসহায় দরিদ্রদের হক্ব রেখেছেন। সেই হক্ব অসহায় দুঃস্থদের নিকট পৌঁছানো ফরজ। দেশ-বিদেশের সামর্থবান দ্বীনি ভাই-বোনদের যাকাতের অর্থ আমরা প্রকৃত হক্বদারদের নিকট পৌঁছানোর চেষ্টা করি। যে কেউ আমাদের মাধ্যমে চাইলে নিজের যাকাত প্রদান করতে পারেন। যাকাতের হকদারদেরকে এই অর্থের মাধ্যমে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের অধীনে স্থায়ী জীবিকার বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়াও রয়েছে আমাদের ইয়াতিম লালন-পালন, নারী উন্নয়ন, গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ ইত্যাদি নানা প্রজেক্ট।
সাধারণ অনুদান তাহযিব ফাউন্ডেশনের অন্যতম চালিকাশক্তি। এর অধীনে আমাদের শিক্ষা, সেবা, গবেষণা ও দাওয়াহমূলক কাজের বহুমুখি প্রজেক্ট পরিচালিত হয়। সুনির্দিষ্ট কোনো খাত না থাকলে তাহযিবের সাধারণ ফান্ডে এককালীন, মাসিক বা বাৎসরিক যে কোনোভাবে আপনি যুক্ত হতে পারেন। দাতারা নিয়মিত তাহযিব ফাউন্ডেশনের সার্বিক কার্যক্রমের ব্যাপারে আপডেট পান।
অনেকেই প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অংশ সাদাকা করতে চান। দাতাদের মাসিক অনুদান তাহযিব ফাউন্ডেশনের অন্যতম আয়ের উৎস। মাসিক অনুদান থেকে তাহযিব ফাউন্ডেশনের মৌলিক খরচসহ শিক্ষা, দাওয়াহ ও সেবামূলক কাজগুলোতে ব্যয় হয়ে থাকে। অল্প পরিমাণ হলেও আপনি নিয়মিত প্রতি মাসে আপনার অর্থ থেকে কিছু সাদাকা করতে পারেন ইন শা আল্লাহ। নবী সা. বলেন, ‘‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল হলো, যা সদাসর্বদা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা অল্প হয়।’’ (বুখারী: ৬৪৬৪)
দেশের নানা প্রান্তে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, প্লাবন, ভূমিকম্প ইত্যাদি জরুরী অবস্থায় তৎক্ষণাত সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। এছাড়াও শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের জরুরী খাবার, ঔষধ, চিকিৎসা ইত্যাদির ব্যবস্থা নেয়া হয়। চাইলে এ ফান্ডে সরাসরি আপনি অনুদান দিতে পারেন। রাসূল সা. বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম ভাইয়ের দুনিয়াবী বিপদাপদের মধ্যে কোনো বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহ তা’আলা তার পরকালের একটি বিপদ দূর করে দেবেন। যে লোক দুনিয়াতে অন্য কারো অভাব দূর করে দেয়, তার দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্যাসমূহ আল্লাহ তা’আলা সহজ করে দেবেন। (সহীহ মুসলিম: ১৯৩০)
চলুন সবাই মিলে অবদান রাখি
শিক্ষা
গবেষণা
তাহযিব ফাউন্ডেশনের গবেষণামূলক কার্যক্রমের মধ্যে শিক্ষা গবেষণা, ফতোয়া প্রদান, সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও শরয়ী আলোকে সমাধান ইত্যাদি প্রজেক্ট চলমান।
সেবা
ইসলামের অন্যতম শিক্ষা ও নির্দেশনা হচ্ছে, মানুষের বিপদাপদে পাশে থাকা ও সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। তাহযিব ফাউন্ডেশনের সেবামূলক সবরকম উদ্যোগ রয়েছে।
দাওয়াহ
দাওয়াহমূলক কাজে তাহযিব ফাউন্ডেশনের রয়েছে বহুমুখী প্রজেক্ট। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ এবং সর্বোপরি ইসলামের দাওয়াহ ও সৌন্দর্য সবার কাছে পৌঁছে দেয়া আমাদের সবার কর্তব্য
- Copyright © Tahzib Foundation 2024. All Right Reserved.